হ্যালো বন্ধুরা আমরা অনেকেই মনে করি, বাংলাদেশ অনেক গরীব একটি দেশ কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে আমাদের দেশে এমন অনেক ধনী ব্যক্তি রয়েছে যে তাদের সম্পত্তির পরিমাণ কত তা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
তো বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে দশ ধনী ব্যক্তি কে তা তুলে ধরব। গত বছরের তুলনায় এ বছর সম্পত্তির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে তাদের।
সেরা 10 ধনী ব্যক্তির তালিকায় উঠে এসেছে কারা চলুন জেনে নেওয়া যাক।
নাম্বার 10-- রাগীব আলী

রাগীব আলী

রাগীব আলী
বাংলাদেশের দশম সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি হলেন রাগীব আলী। তিনি 1974 সালের 10 ই অক্টোবর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি লন্ডন থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন কাঠুরিয়া। ছোট থেকে অনেক বড় কিছু হবার জলজ্যান্ত উদাহরণ এই রাগীব আলী।
বর্তমানে তার টোটাল সম্পত্তির পরিমাণ 270 মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করলে হয় 2 হাজার 300 কোটি টাকারও বেশি। গত বছরের তুলনায় এ বছর তার সম্পত্তির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তার সম্পত্তির দাম আগের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে।
এই রাগীব আলী জীবনের শুরুতে একজন লেখক ছিলেন। আর লেখক হিসেবে তার জীবনের প্রথম ক্যারিয়ার শুরু হয়। এরপর অনেক কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।
সিলেটের অসংখ্য চা বাগানের মালিক তিনি। এছাড়াও তার নামে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই মহান ব্যক্তি রাগীব আলী শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় বরং আরো অনেক হাসপাতাল ,কারখানা, কোটি কোম্পানির মালিক তিনি। বর্তমানে রাগীব আলীর বিশাল বিশাল চারটের চা বাগান রয়েছে যার এক একটির মূল্য প্রায় 200 কোটি টাকা।
রাকিব আলী নামে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে, অর্থ জালিয়াতির মামলায় বর্তমানের রাগীব আলী এবং তার ছেলে 14 বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। রাগীব আলী ভূমি দখল , চা বাগান দখল, ক্ষমতার অপব্যবহার করা এসব নিত্যদির কাজ ছিল। এভাবেই সে বিশাল এত সম্পওির মালিক হয়। এত বিশাল সম্পওির মালিক হওয়ার পরও জেলের ভাত খেতে হচ্ছে।
নাম্বার নাইন ইকবাল আহমেদ

ইকবাল আহামেদ
আমাদের তালিকায় বাংলাদেশের নবম সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি হলেন ইকবাল আহামেদ। ইকবাল আহমেদ গত বছর 10 তম ধনী ছিলেন। কিন্তু এবার 10 নম্বর থেকে নয় নম্বরে ওঠে এসেছেন। এই ব্যক্তি একজন সফল ব্যবসায়ী। তার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অনেক ইকবাল আহমেদ এর বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ 290 মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকা কনভার্ট করলে হয় 2500 কোটি টাকার কাছাকাছি ।

ইকবাল আহামেদ
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ ব্যবসায়ী শুধু চিংড়ি ব্যবসা করে এত টাকা কামিয়েছে করেছে। সিমার্ক
এবং আইভিসিএম নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। এ দুটি কম্পানি মূলত
শিপিং বিজনেস, রিয়েল এস্টেট, হোটেলে, খাদ্য, হাসপাতাল নিয়ে বিজনেস করে
থাকে।
এই ইকবাল আহামেদ আমাদের কাছে অনুপ্রেরণার মতো। কারণ, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই
দুর্নীতি ,অবৈধ কাজ করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে ধনী হয়েছে।
কিন্তু এই ব্যক্তিটি সৎ পথে শুধুমাত্র চিংড়ির ব্যবসা করে এত এত টাকার মালিক হয়েছেন ।
নাম্বার আট মহীউদ্দীন খান আলমগীর

মহীউদ্দীন খান আলমগীর
সম্পদের দিক থেকে আট নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

মহীউদ্দীন খান আলমগীর
বিরোধীদল চক্রান্ত করে রানা প্লাজা ধসিয়েছে এরকম কথা বলে একসময় অনেক হাসির পাত্র হয়েছেন এই ব্যক্তি। কিন্তু তার সম্পদের পরিমাণ মটেও হাসিঠাট্টার বিষয় নয়। তার টোটাল সম্পত্তির পরিমান 400 মিলিয়ন ডলারের চেয়ে অনেক বেশি যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে হয় 3 হাজার 400 কোটি টাকা। তিনি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী সহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে ছিলেন।
নাম্বার সাত গিয়াসউদ্দিন আল মামুন

গিয়াসউদ্দিন আল মামুন
আমাদের সাত নম্বরে রয়েছে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। তার সম্পদের পরিমান 400 মিলিয়ন ডলারের মত অর্থাৎ 3 হাজার 400 কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।

গিয়াসউদ্দিন আল মামুন
তার ব্যবসার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে । ব্যাংক থেকে বিনা সুদে লোন নিয়েও ব্যাংকের টাকা বিন্দুমাত্র শোধ না দেওয়ার নজির রয়েছে তার । তার নামে মামলাও করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন ।
নাম্বার ছয় মির আহমেদ আকবর সোবহান

মির আহমেদ আকবর সোবহান
আমাদের ছয় নম্বরে আছে আহমেদ আকবর সোবহান। 1952 সালের 15 ই ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করে। আর ছেলের নাম সায়েম সোবহান আনবীর। যিনি বর্তমানে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি। আর এই ব্যক্তিকে আপনারা সকলেই চিনেন মুনিয়ারে আত্মহত্যার পর থেকে। তবে সায়েম সোবহান আনবীর যেমনই হোক তার বাবা অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন।

মির আহমেদ আকবর সোবহান
তার প্রথম সম্পদের পরিমান 500 মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করলে হয় 4252 কোটি টাকা। আহমেদ আকবর সোবহান বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি কোম্পানি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক।
বসুন্ধরা গ্রুপ শপিং মল থেকে শুরু করে হাসপাতাল, সিমেন্ট, টিসু, কাগজ ইত্যাদি আরো অনেক কিছু তৈরি করে থাকে। আর বসুন্ধরা গ্রুপের নাম শোনেননি এমন কোন মানুষ বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
নম্বর পাচঁ সায়েদ আবুল হোসেন

সায়েদ আবুল হোসেন
সায়েদ আবুল হোসেন তিনি একজন বিজনেসম্যান হলেও অনেক বিতর্কিত। 1951 সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন তিনি। বর্তমানে ক্ষমতাধর আওয়ামী লীগের একজন সদস্য সদস্য। পার্লামেন্ট সদস্য হিসাবে তিনি 1972 সাল থেকেই আছেন।

সায়েদ আবুল হোসেন
2012 সালের পদ্মা সেতু দুর্নীতিতে তিনি একজন দুর্নীতিবাজ বলে বিশ্বব্যাংক তার বিরুদ্ধে মামলা করে দেয়। তাছাড়াও আরও অনেক দুর্নীতিতে তিনি আছেন বলে জানা যায়।
বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ 1 বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকা কনভার্ট করলে হয় 8500 কোটি টাকা প্রায়।
নাম্বার 4 সালমান এফ রহমান

সালমান এফ রহমান
বাংলাদেশের 8র্থ ধনী ব্যক্তি হলেন সালমান এফ রহমান তিনি অনেক বিতর্কিত। তার সম্পত্তির পরিমাণ 1.5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করলে হয় 12 হাজার 750 কোটি টাকা।

সালমান এফ রহমান
শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত ছিলেন বলে তার বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। 1972 সালে তিনি এবং তার ভাই মিলে চালু করেন বেক্সিমকো নামের এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি। যা ইউরোপে সামুদ্রিক মাছ ও হাড়ের গুড়া সহ অনেক পণ্য রপ্তানি করতে শুরু করেন।
1976 সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বেক্সিমকো ফার্মা আর এই কোম্পানি বিভিন্ন রকমের ঔষধ তৈরি করে থাকে। সালমান এফ রহমানের নিজস্বতা হেলিকপ্টার রয়েছে। তিনি যখন যেখানে যান প্রাইভেট হেলিকপ্টার নিয়ে যান।
নাম্বার 3 সজীব ওয়াজেদ জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়
ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের ৩য় সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি। সজীব ওয়াজেদ জয় তার সম্পত্তির পরিমাণ 1 বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় 8 হাজার 400 কোটি টাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পিছনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিশাল অবদান রয়েছে। তবে তার সম্পত্তির উৎস কি আমার জানা নেই। আর একজন সাধারন মানুষ হিসেবে আমি কিছু বলতে চাই না।

সজীব ওয়াজেদ জয়
নাম্বার 2 তারেক রহমান

তারেক রহমান
বেগম খালেদা জিয়ার পুএ তারেক রহমান। তার সম্পত্তির পরিমাণ 1.5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে সঠিকভাবে কেউ জানে না তার সম্পদের পরিমাণ কতটুকু। তবে এই 12 হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি তিনি কিভাবে অর্জন করেছেন বা তার টাকার উংস কী তা আমার জানা নেই।

তারেক রহমান
নাম্বার 1 মুসা বিন শমস

মুসা বিন শমস
বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন মুসা বিন শমসের। তার সম্পত্তির পরিমাণ 12 বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ কোটি টাকা। তিনি মূলত একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী। এছাড়াও ডেককো নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

0 Comments